রত্ন সম্বন্ধীয় কিছু কথা।

গ্রহরত্নের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বহুকালের। সুপ্রাচীন যুগ থেকে গ্রহরত্ন ধরণের প্রথা চলে আসছে। আগে একমাত্র বড়লোক বা ধনীরাই কিংবা রাজা মহারাজারা মনি মুক্তা ইত্যাদি ধারণ করতেন। বর্তমান কালে সকল জনসাধারণের নাগালের মধ্যেই এসেগেছে রত্নধরণের সুযোগ সুযোগ সুবিধা।
রত্নকে প্রধানত দুইভাগে হয় ১) রত্না ও ২) উপরত্ন। রত্ন আবার দুই ভাগ আছে যেমন ১) খনিজ ও ২) সামুদ্রিক। উপরত্ন বহু প্রকারের হয় , যথা - মুনস্টোন , গার্নেট , জারকন , এমিথিষ্ট , ল্যাপিস লাজুলি , এয়াকুয়া মেরিন , টোপাজ , অনুরাগ মনি , ষ্টাররুবি ইত্যাদি। এবার আমরা দেখবো সাধারণ ভাবে কোন গ্রহের জন্যে কোন রত্না নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
গ্রহ রত্ন
রবি - চুনি , ষ্টার রুবী , রক্ত প্রবল
চন্দ্র - শ্বেত মুক্তা , মুনস্টোন
মঙ্গল - রক্ত প্রবল
বুধ - পান্না
বৃহস্পতি - পীত পোখরাজ , টোপাজ
শুক্র - হীরে , জারকন , ওপাল
শনি - নীলা , এমিথিস্ট , নীলি
রাহু - গোমেদ
কেতু - ক্যাটস আই / পান্না
রত্ন ধরনের আগে নিজের জন্মকুন্ডলী দেখে নিয়ে রত্না ধারণ করা ভালো। কারণ কোন একটি গ্রহ কোন জন্মকুণ্ডলীতে বড় একটা একক ভাবে অশুভ হয় না। এছাড়াও অনেক সময় সোজাসুজি সেই গ্রহটির প্রতিকার ও করা হয় না। যেমন কারো যদি ডায়াবিটিস থাকে সেই লোকের যদি অপারেশন প্রয়াজন হয় তাহলে আগে ডায়াবিটিসের চিকিৎসা করতে হয়।
এবারে আবার রত্নের কোথায় ফেরা যাক। আমরা আগেই জানলাম রত্ন নয় প্রকারের ও উপরত্ন অনেক প্রকারের হয়। বরাহমিহিরের মতে -
গ্রহের বর্ন গ্রহ দেহের উপাদানের পরিচালক
গাঢ় রক্ত বর্ন রবি অস্থির বা হারের
শ্বেত বর্ণ চন্দ্র রক্তের
রক্ত বর্ন মঙ্গল মজ্জার
সবুজ ও নীল বর্ণ বুধ ত্বকের
পীত বর্ন বৃহস্পতি কফ ও চর্বি বৃদ্ধির
উজ্জ্বল শ্বেতবর্ণ শুক্র শুক্রের
নীল বর্ন শনি শিরার
রাহু মস্তকের
কেতু দেহের নিম্নভাগের
এবার আমরা দেখব কোন গ্রহের কি রোগের কারকত নিয়ে বসেছে। অথাৎ গ্রহ অশুভ হলে কোন গ্রহ কি রোগ প্রদান করে সেটি এবারে দেখব।

চন্দ্র - প্রক্ষাঘাত , অন্ত্র রোগ , পাথুরী , রক্ত আমাশয় , শোখ , ঠান্ডা লাগা জনিত অসুখ , বসন্ত , উন্মাদ , উদরী , দৃষ্টিশক্তি হ্রাস , স্ত্রী লোকেদের ঋতু সংক্রান্ত রোগ বা গুপ্ত রোগ।
মঙ্গল - প্রবল জ্বর , ম্যালেরিয়া , কার্বাঙ্কল , পোড়া , দাদ , ফোঁড়া , জননেন্দ্রিয়ের রোগ , যেকোন রকমের ঘা , বহুমূত্র , শূলবেদনা , অম্ল , অগ্নীদগ্ধ , ভগন্দর , সংক্রামক ব্যাধি।
বুধ - মস্তিষ্কের বিকৃতি , বুদ্ধি নাশ , পেশীর রোগ , হাঁপানি , জিহ্বার ঘা , স্বর বিকৃতি , সর্দি কাশি , হাতেপায়ে বাত , মৃগী রোগ , শিরঃপীড়া।
বৃহস্পতি - অন্ত্রের রোগ , সন্ন্যাস , নিমোনিয়া , বামকানের রোগ , হৃদপিণ্ডের কম্পন , পৃষ্ঠ বেদনা , টনসিলের রোগ , শিরা ও ধমনীর রোগ সায়টিকা , ফুসফুসের প্রদাহ , যকৃতের রোগ দেখা যায়।
শুক্র - জরায়ুর পীড়া , শ্বাস কষ্ট , হৃদ কম্পন , জননেন্দ্রিয়ের সর্বপ্রকার ব্যাধি , একশিরা , ধ্বজভঙ্গ , উপদংশ , বহুমূত্র , কোমরে বেদনা , বাত , প্রক্ষাঘাত , শরীরে চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া কন্ঠরোগ।
শনি - স্নায়বিক দুর্বলতা , কুষ্ঠ , বাত , পক্ষাঘাত , অর্শ , ক্ষয় , ধজঃভঙ্গ , শরীর কম্পন , কম্প জ্বর , বধিরতা , মেরুদণ্ডের রোগ।

কেতু - চর্মরোগ , উপদংশদি দুষ্ট ব্যাধি , শূল বেদনা , জ্বর ও মুখের রোগ।
এই সকল রোগ নিরাময়ের জন্যে গ্রহের রত্নের প্রয়োজন পরে।
রত্নকে আবার আরো ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন - ১ ) উষ্ণ এবং ২) ঠাণ্ডা। গরম কালে উষ্ণ রত্ন ব্যবহারে সচেতন থাকা প্রয়জন। অনুরূপ ভাবে শীতকালে ঠাণ্ড জাতীয় রত্ন ধরণে সতর্কতা বাঞ্চনীয়। রত্ন ব্যবহারে রত্নের ওজন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সঠিক কাজের আশা করতে হলে সঠিক ওজনের রত্ন নেয়া প্রয়োজন। পরে রত্নের ওজন নিয়ে আলোচনা করা হবে। রত্নের ওজনের ব্যাপারে অভিজ্ঞ জোতিষির পরামর্শ নেয়া একান্তই প্রয়োজনীয়। রত্ন যত নিখুঁত হবে ততই ভাল। নিখুঁত বলতে বোঝায় -
১) রত্নে কোন দাগ থাকবে না।
২) রত্ন ফাটা বা চটা হবে না।
৩) বুদবুদি থাকবে না।
৪) পাথরের স্তর দেখা যাবে না।
৫) ঠিক যেমন রং প্রয়োজন তার চেয়ে যেন গাঢ় বা হালকা না হয়।

গ্রহ দত্তক রোগ নিবারণের বহু বিধান জোতিষ শাস্ত্রে দেয়া আছে। ইহাদের মধ্যে রত্ন বিধান , ধাতু বিধান , গ্রহ মূল বিধান , সূত্র বিধান , ধুপ বিধান , মন্ত্র বিধান , দান বিধান , উল্লেখ যোগ্য। এছাড়াও যজ্ঞ-হোম , কবচ ইত্যাদির বিধানও শাস্ত্রে বলা আছে।
বর্তমান জোতিষ শাস্ত্র মতে গ্রহ রত্ন প্রতিকার সম্বন্ধে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
রত্ন বিধান -
১) রবি - চুনী - ৪ থেকে ৬ রাতি ধারণ করতে হয়।
২) চন্দ্র - মুক্ত - ৫ থেকে ৭ রাতি ধারণ করতে হয়।
৩) মঙ্গল - প্রবল ১০ থেকে ২০ রাতি ধা
রণ করতে হয়।
৪) বুধ - পান্না ৩ থেকে ৫ রাতি ধারণ করতে হয়।

৫) বৃহস্পতি - পোখরাজ ৪ থেকে ৬ রাতি ধারণ করতে হয়।
৬) শুক্র - হীরক ১ থেকে ৩ রাতি ধারণ করতে হবে।
৭) শনি - ইন্দ্রনীলা ৫ থেকে ৮ রাতি ধারণ করতে হবে।
৮) রুহু - গোমেদ ৬ থেকে ৯ রতি ধারণ করতে হবে।
৯) কেতু - ক্যাটস আই ৪ থেকে ৬ রাতি ধারণ করতে হবে।
রত্ন ধরণের পূর্বে রত্ন গুলি শোধন করার উপায় -
১) চুনী - লেবুর রসে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
২) মুক্ত - জয়ন্তি পাতার রসে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৩) প্রবাল - গঙ্গা জলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৪) পান্না - গো দুগ্ধে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।

৬) হীরক - নারকেলের জলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৭) নীলা - নীল বৃক্ষের রসে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৮) গোমেদ - গোরচনায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৯) ক্যাটস আই - ত্রিফলা ভেজানো জলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
গ্রহরত্ন ধরণের পূর্বে রত্ন গুলি শোধনের নিয়ম।
১) মানিক্য বা চুনি - জলের সাথে লেবু রসে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
২) মুক্তা - জলের সাথে জয়ন্তী পাতার রোষে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
৩) প্রবাল - পরিষ্কার জলে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
৪) পান্না - কাঁচা গরুর দুধে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
৫) পোখরাজ - পরিষ্কার জলে সামান্য দুধ দিয়ে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন।পরে ধারণ করুন।

৬) হীরা - পরিষ্কার জলে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
৭) নীলা - কাঁচা দুধে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। প
রে ধারণ করুন।
৮) গোমেদ - দুধ , গঙ্গাজল ও গোচনা ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
৯) ক্যাটস আই - ত্রিফলা সহ পরিষ্কার ভেজানো জলে ৩ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ধারণ করুন।
প্রতিটি গ্রহরত্ন উপরোক্ত নিয়ম গুলি মানতে অসুবিধা হলে , যে কোনো মন্দিরে গিয়ে ব্রাহ্মণ কে দিয়ে কাঁচা দুধ ও গঙ্গাজলে শোধন করে ধারণ ও করা যেতে পারে।
কোন রত্ন কোন আঙুলে ও কি কি বারে ধারণ করতে হবে।
১) চুনি - বরিবার অনামিকাতে ধারণ করতে হবে।
২) মুক্ত - সোমবার কনিষ্ঠা বা তর্জনীতে ধারণ করতে হবে।
৩) প্রবাল - মঙ্গলবার অনামিকাতে ধারণ করতে হবে।
৪) পান্না - বুধবার অনামিকা বা কনিষ্ঠাতে ধারণ করতে হবে।
৫) পোখরাজ - বৃহস্পতিবার তর্জনীতে ধারণ করতে হবে।

৬) হীরক - শুক্রবার মধ্যমাতে ধারণ করতে হবে।
৭) নীলা - শনিবার মাধ্যমাতে ধারণ করতে হবে।
৮) গোমেদ - শনিবার মাধ্যমাতে ধারণ করতে হবে।
৯) ক্যাটসসাই - রবিবার অনামিকা বা কনিষ্ঠাতে ধারণ করতে হবে।
*** সকল রত্নাই বাজুতে বা গলায় ধারণ করা যেতে পারে।
এবারে জানাযাক উপ রত্নের নাম গুলি।
১) ববির জন্যে - ষ্টার রুবি। ( Star Ruby )
২) চন্দ্রের জন্যে - মুনস্টোন বা চন্দ্রকান্ত মনি। ( Moon Stone )
৩) মঙ্গলের জন্যে - পুলক মনি। ( Garnet )

৫) বৃহস্পতির জন্যে - টোপাজ। ( Topaz )
৬) শুক্রের জন্যে - জারকন। ( Zircon )
৭) শনির জন্যে - এমিথিস্ট। ( Amethyst )
৮) রাহুর জন্যে - পাঞ্জাব গোমেদ। ( Indian Gomed )
৯) কেতুর জন্যে - রাজপট্ট। ( Rajpatta )
শাস্ত্রে যে নবগ্রহের কথা বলা হয়েছে তা গ্রহ প্রতিকারে কাজে লাগে , কিন্তু উপরত্ন একটু অধিক মাত্রায় ধারণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
রোগ মুক্তিতে রত্নের প্রভাব।
এবারে জানাজাক গ্রহরত্ন ধরণের মাধ্যমে রোগ মুক্তিনিরাময় নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।
১) পেটের গোলমালে - গোমেদ - ৬ রতি।
২) উচ্চ রক্তচাপে - পীত পোখরাজ - ৬ রতি।
৩) হৃদ রোগে - মুক্তা - ৬ রতি।
৪) স্ত্রী রোগে - রক্ত প্রবাল - ১২ রতি।
৫) পুরাতন চর্মরোগে - রক্ত প্রবাল - ১২ রতি।
৬) রক্ত শূন্যতা - রক্ত প্রবাল - ১২ রতি।
৭) অনিদ্রা রোগে - মুনস্টোন - ১১ রতি।
৮) স্মৃতিশক্তি হীনতায় - মুনস্টোন - ১০ রতি।
৯) সর্দি কাশি রোগে - রক্ত প্রবল , মুনস্টোন - ১২ রতি।
১০) আমাশয় রোগে - রক্ত প্রবাল - ১২ রতি।
১১) পাইরিয়া - গোমেদ , মুনস্টোন , রক্ত প্রবল - ৫ , ১০ , ১২ রতি।
১২) দৃষ্টি শক্তি - মুক্তা - ৭ রতি।
১৩) মানসিক রোগে - চুনী - ৫ রতি।
১৪) বহুমূত্র রোগে - হীরক , পোখরাজ - ১ রতি , ৫ রতি।
১৫) কুষ্ঠ রোগে - নীলা , পোখরাজ - ৫রতি , ৬ রতি।
১৬) টিউমার রোগে - পান্না , পোখরাজ - ৫রতি।
১৭) উন্মাদ রোগে - শ্বেত প্রবাল , গোমেদ , চুনি - ১২রতি , ৬রতি , ৮রতি।
১৮) বন্ধ্যাত্ব রোগে - ইন্দ্র নীলা - ৫রতি।
১৯) পিত্ত রোগে - পান্না - ৬রতি।
২০) দাঁতের রোগে - মুক্ত , পান্না - ৫রতি।
২১) শ্বেতী রোগে - ইন্দ্র নীলা - ৫রতি।
২২) অতিরিক্ত চর্বি - মুনস্টোন - ১২ রতি।
২৩) কুষ্ঠ রোগে - মুক্তা , হীরক - ৫ রতি , ১ রতি।
২৪) টনসিলের রোগে - মুনস্টোন - ১১ রতি।
২৫) অম্ল ও অজীর্ণ রোগে - গোমেদ , পোখরাজ - ৫.৫ রতি।
২৬) শিশু রোগে - মুনস্টোন , রক্তপ্রবাল - ৫ রতি।
২৭) কানের রোগে - পান্না - ৬ রতি।
২৮) মাথার যন্ত্রনায় - পান্না , গোমেদ - ৬ রতি।
২৯) লিভারের রোগে - রক্তপ্রবাল , পোখরাজ - ১২ রতি , ৫ রতি।
৩০) অর্শ রোগে - রক্ত প্রবল - ১২ রতি।
৩১) পক্ষাঘাতে - ইন্দ্রনীল - ৫ রতি।
৩২) রক্ত ক্যান্সারে - রক্ত প্রবল , গোমেদ , পিত পোখরাজ - ৬ রতি , ১২ রতি , ৬ রতি।
৩৩) যৌন রোগে - ক্যাটস আই - ৫ রতি।
৩৪) মস্তিষ্কের ক্যানসারে - ইন্দ্রনীল , ক্যাটস আই - ৬ রতি , ৪ রতি।
৩৫) হারের ক্যানসারে - ইন্দ্রনীল , ক্যাটস আই - ৬ রতি , ৪ রতি।
৩৬) মুখমণ্ডলের ক্যানসারে - ইন্দ্রনীল , ক্যাটস আই - ৬ রতি , ৪ রতি।
৩৭) যকৃতের ক্যানসারে - ইন্দ্রনীল , ক্যাটস আই - ৬ রতি , ৪ রতি।
৩৮) ত্বকের ক্যান্সারে - হীরা , ইন্দ্র নীলা - ১ রাতি , ৫ রতি।
৩৯) জরায়ুর ক্যান্সারে - মুক্তা , রক্ত প্রবাল - ৫ রতি , ১২ রতি।
৪০) স্ট্রোক বা হৃদ রোগে - পোখরাজ - ৫ রতি।
৪১) কুঁজো রোগে - মুক্তা , প্রবাল , পোখরাজ - ৫ রতি , ১২ রতি , ৫ রতি।
৪২) অকাল বৃদ্ধ - রক্ত প্রবাল - ১২ রতি।
৪৩) হাঁপানি রোগে - রক্ত প্রবাল , পীত পোখরাজ - ১২ রতি , ৪ রতি।
৪৪) বাতের বেদনা - শ্বেত প্রবাল - ১২ রতি।
*** উপরে লেখা রোগ গুলির বাইরেও আরো অনেক রোগ আছে এবং গ্রহ রত্ন দ্বারা তার প্রতিকারও সম্ভব। কিন্তু সঠিক রত্ন ধারণ করা অবশ্যক। আর একটি কথা রত্নের যেমন শুভ ফল আছে তেমনি অশুভ ফলও রয়েছে , তাই যখনি রত্ন ধারণ করবেন অভিজ্ঞ জোতিষীর পরামর্শে তা ধারণ করুন ১০০% শুভ ফল পাবেন।
ব্লু জারকন কি কোরে শোধন কোরতে হয ?
ReplyDeleteকাঁচা দুধ ও গঙ্গাজলে শোধন করুন
Deleteপেরিডট ধারণ করার কতদিন পর ফল পাওয়া যায়,
ReplyDelete